নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনী সীমানা সংশোধন শুনানিঃ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতার মতামত

অধ্যাপক মামুন মাহমুদ (জেলা বিএনপির আহ্বায়ক)
“নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনকে ভাগ করতে গিয়ে তিন ও পাঁচে হস্তক্ষেপ হয়েছে। একটি আসনকে ভাগ করার জন্য তিনটি আসনকে পণ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, যা জনগণের মতামতের পার্থক্য সৃষ্টি করেছে। ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ আগে একত্র ছিল; আগের অবস্থায় রাখা উচিত। বান্দরের পাঁচটি ইউনিয়ন যদি সোনারগাঁয়ের সাথে যুক্ত হয়, ভোটের ভারসাম্য নষ্ট হবে।”
মাওলানা মাঈনুদ্দিন আহমেদ (মহানগর জামায়াতে ইসলামী সাবেক আমীর ও প্রার্থী, নারায়ণগঞ্জ-৫)
“নারায়ণগঞ্জের সংসদীয় আসনের বিন্যাসের সমস্যায়, যদি আরেকটি আসন বাড়ানো যায়, তাহলে সকল সমস্যার সমাধান সম্ভব। জনসংখ্যার আনুপাতিক হার বিবেচনায় শিল্প নগরী হিসেবে অতিরিক্ত আসন বাড়ালে বিদ্যমান সমস্যা সমাধান হবে।”
অধ্যাপক রেজাউল করিম (বিএনপির সাবেক এমপি ও প্রতিমন্ত্রী)
“সোনারগাঁ ঐতিহাসিক নগরী। জামদানি, মুসলিম ঐতিহ্য ও ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী সোনারগাঁ আলাদা সংসদীয় আসনের যোগ্য। আমরা চাই, ইলেকশন কমিশন সোনারগাঁকে আলাদা আসনে উন্নীত করুক। সম্ভব হলে নারায়ণগঞ্জে আরেকটি আসন বৃদ্ধি করা হোক।”
এডভোকেট আবু আল ইউসুফ টিপু (মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব)
“প্রশাসনিক সুবিধা ও জনগণের সুবিধার জন্য নারায়ণগঞ্জ পাঁচ আসনে বড় পরিবর্তন আসছে। তবে জনগণের মধ্যেই ক্ষোভ বিদ্যমান। নারায়ণগঞ্জ পাঠ বিভক্ত না করা হোক, পূর্বাবস্থায় রাখা হোক।”
শাজাহান বেপারী (সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক, আমার বাংলাদেশ পার্টি, ঢাকা বিভাগ)
“আমরা বন্দরবাসী হিসেবে লক্ষ্য করেছি, আমাদেরকে যে অবস্থান দেওয়া হয়েছে তা আমাদের প্রতি সঠিক আচরণ নয়। আগের অবস্থায় থাকতে চাই। বন্ধুর উপজেলা বা কাটাকাটির প্রয়োজন নেই। আমাদের অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে, জনগণের দুর্ভোগ বেড়েছে।”
আজহারুল ইসলাম মান্নান (বিএনপির নির্বাহী কমিটি সদস্য ও সোনারগাঁ উপজেলা সভাপতি)
“সোনারগাঁয়ের মানুষ শান্তিপ্রিয়। সোনারগাঁ-বন্দর সংযোগ বা আলাদা সংসদীয় আসন হোক, আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। তবে শীতলক্ষার পশ্চিমপাড়ের কোনো সন্ত্রাসীদের সঙ্গে থাকতে চাই না।”
আবুল কাউসার আশা (মহানগর বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক)
“বন্দর পাঁচটি ইউনিয়নে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক সোনারগাঁয়ের তুলনায় কম। তবে সদর উপজেলায় আমাদের পুরনো ঐতিহাসিক-সামাজিক সম্পর্ক রয়েছে। যাতায়াত বা যোগাযোগে কোনো বাধা নেই। তাই আমাদের দাবি বন্দরকে আলাদা সংসদীয় আসনে উন্নীত করতে অথবা সদর-বন্দর যৌথ আসনে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনা হোক।”
এডভোকেট মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম শিপলু
“বন্দরকে সোনারগাঁর সাথে একত্র করার কোনো ভৌগলিক সুযোগ নেই। বন্দরের ও সোনারগাঁর মধ্যে অনেক তফাৎ। আইনগতভাবে বন্দরকে সোনারগাঁর সাথে ভাগ করা অযৌক্তিক। স্বাধীনতার পরও বন্দর সদরের সাথে সুন্দরভাবে ছিল; সোনারগাঁর সঙ্গে নয়।”
এডভোকেট হাবিবুর রহমান মাসুম
“সিদ্ধিরগঞ্জবাসী বিভক্ত হতে চায় না। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হলেও সিদ্ধিরগঞ্জ একটি শিল্প নগরী। ২০০৮ সালের মতো সোনারগাঁ ও সিদ্ধিরগঞ্জের একটি সংসদীয় আসন চাই। এতে বাসিন্দারা কাছাকাছি থেকে বসবাস করতে পারবে এবং উন্নয়ন বরাদ্দ সঠিকভাবে পাব।”


১৯৪ বিবি রোড, সমবায় মার্কেট, চাষাঢ়া, নারায়ণগঞ্জ - ১৪০০
Email: narayanganjvoicenews@gmail.com
© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত , নারায়ণগঞ্জ ভয়েস ডট কম